Sunday, April 19, 2020

"সার্ভিস বাংলাদেশ " এর শুরুটা এমনই ছিল




সালটা ছিল ২০০৬ সাল আমি তখন নবম শ্রেণীর একজন ছাত্র। আমার ছোট বেলা থেকেই কয়েকটি ইচ্ছা ছিল।তার মধ্যে হল একটা বৃদ্ধাশ্রম তৈরী,অসহায় মানুষের জন্য কিছু করা।তার সেই কারনই মেরিনে পড়তে যাওয়া।কারন মেরিনে পড়লে সৎ ভাবে কিছু ভাল অর্থ আয় করা যায়।যা দিয়ে কিছু ভাল কাজ করার ইচ্ছা ।

আমরা বন্ধুরা সবাই একটু ভ্রমন প্রিয়।তাই দুই ঈদে দুইবার ঘুরতে যাওয়া।কারন পড়াশুনার চাপে অন্য সময়ে দূরে কোথায় যাওয়া যায় না।তাই এবার ২০০৬ সালেও আমরা ঈদের মত কোরবানীতেও যাওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু ২০০৬ সালের কোরবানির ঈদে আমাদের যাওয়া হল না।কারন একদিন স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় দেখি একজন বৃদ্ধ লোক দাড়িয়ে রয়েছে।তাকে অসহায়ের মত দেখাচ্ছিল।আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তার কি হয়েছে? তিনি বললেন যে,তার ছেলে এস.এস.সি. এর ফরম ফিলাপ করা লাগবে কিন্তু তার কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই।পরে আমি তার ঠিকানা রাখলাম।পরে আমি আমার বন্ধুদের কাছে বললাম,আমরা যদি বেঁচে থাকি,তবে আমরা আরও অনেক জায়গায় বেড়াতে যেতে পারব। এ বছর আমরা যাব না,এই অর্থগুলো ঐ বাবা'র হাতে তুলে দিব।যা দিয়ে সে তার ছেলের ফরম ফিলাপ করতে পারবে।কারন এবছর যদি, সে না করতে পারে।,তবে তার আরও ১ বছর লস হবে।আমাদের আনন্দ নিশ্চয়ই ওই ভাইয়ের ফরম ফিলাপ করার আনন্দের চাইতে বেশী না।

আমার ভাগ্য ভাল যে,আমার বন্ধুরা আমার কথায় সায় দিলেন।তারপর আমরা ট্যুর ক্যান্সেল করে ওই অর্থ ওই বাবার হতে তুলে দেই।যা দিয়ে তার সন্তানের ফরম ফিলাপ করা হয়।এভাবেই শুরু হয় সম্মিলিত সহযোগিতার।যা পরবর্তীতে রূপ পায় "সার্ভিস বাংলাদেশ "। এর আগে ও পরে আমরা স্কুলের বন্ধুরা সবাই মিলে রমেশ স্যারের আহবানে আমাদের সহ পার্টিদের স্কুল ড্রেস ও বই কিনে দেই।

২০০৭ সালে ডিসেম্বরে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এটাকে সম্মিলিত সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার।ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে মোংলার ৭ নং কলেজ রোডের আলতাফ সরদারের মাঠে সকাল ০৮.০০ টায় মিটিং এর মাধ্যমে কাগুজে ভোটের মাধ্যমে প্রথমে ৫ জনের।পরে ১১ জনের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির মাধ্যমে সার্ভিস বাংলাদেশ'র সাংগঠনিকভাবে পথ চলা।


মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, 
প্রতিষ্ঠাতা,চেয়ারম্যান ও সভাপতি, 
সার্ভিস বাংলাদেশ।

No comments:

Post a Comment